এক নজরে বাংলাদেশর দর্শনীয় স্থান বা পর্যটন কেন্দ্র


সুজলা সুফলা নদীমাতৃক এই সুন্দর বাংলাদেশে রয়েছে অসংখ্য দর্শনীয় স্থান বা পর্যটন কেন্দ্র।  সৌন্দর্যময় এ বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি জেলায় রয়েছে অনেক দর্শনীয় স্থান। তার মধ্যে থেকে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি দর্শনীয় স্থান বা পর্যটন কেন্দ্র সম্পর্কে  কিছু তথ্য তুলে ধরা হলঃ

০১>কক্সবাজার


কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত

 নীল জলরাশি, মায়াবী প্রকৃতি এবং শোঁ শোঁ গর্জনের মনোমুগ্ধকর সমুদ্র সৈকতের নাম কক্সবাজার। এটি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত একটি শহর, মৎস্য বন্দর এবং পর্যটন কেন্দ্র। কক্সবাজার তার নৈসর্গিক সৌন্দর্য্যের জন্য বিখ্যাত। বিশ্বের বৃহত্তম সমুদ্র সৈকত এই কক্সবাজার। বাংলাদেশ এবং সারা বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পর্যটক কক্সবাজার ভ্রমণে এসে থাকেন। এটি চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সবাজার জেলার অন্তর্গত। এই সমুদ্র সৈকতের দৈর্ঘ্য প্রায় ১৫৫ কিলোমিটার।

সৈকতের পাশাপাশি এখানে ভ্রমণের জন্য আরও রয়েছেঃ

 লাবণী পয়েন্ট


লাবনী পয়েন্ট

কক্সবাজার শহর থেকে নৈকট্যের কারণে লাবণী পয়েন্ট কক্সবাজারের প্রধান সমুদ্র সৈকত বলে বিবেচনা করা হয়। বিস্তীর্ণ বেলাভূমি, সারি সারি ঝাউবন, সৈকতে আছড়ে পড়া বিশাল ঢেউ এসবে হারিয়ে যেতে চাইলে চলে আসুন লাবণী পয়েন্টে । এখানে আরও পাবেন ঝিনুক মার্কেট, এছাড়াও ছোট-বড় অনেক দোকান, যেখানে নানারকম জিনিসের পসরা সাজিয়েছে দোকানীরা  যা পর্যটকদের জন্য বাড়তি আকর্ষণ।

ইনানী বিচ


ইনানী সমুদ্র সৈকত

ইনানী সমুদ্র সৈকত বঙ্গোপসাগরের একটি উপকূলভূমি যা বিংশ শতাব্দীর শেষভাগে একটি পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়। কক্সবাজার জেলার পর্যটন সেক্টরে ইমারজিং টাইগার হচ্ছে ইনানী। বাংলাদেশের কক্সবাজার শহর থেকে প্রায় ২৭ কিলোমিটার দক্ষিণে ও হিমছড়ি থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ইনানী প্রবালগঠিত সমুদ্রসৈকত। পশ্চিমে সমুদ্র আর পূর্বে পাহাড়ের এক অপূর্ব জায়গাটি বাংলাদেশের অন্যতম একটি পর্যটন আকর্ষণ। পরিষ্কার পানির জন্য জায়গাটি পর্যটকদের কাছে সমুদ্রস্নানের জন্য উৎকৃষ্ট বলে বিবেচিত।

হিমছড়ি

হিমছড়ি

হিমছড়ি কক্সবাজারের ১২ কি.মি. দক্ষিণে অবস্থিত। ভঙ্গুর পাহাড় আর ঝর্ণা এখানকার প্রধান আকর্ষণ। কক্সবাজার থেকে হিমছড়ি যাওয়ার পথে বামদিকে সবুজঘেরা পাহাড় আর ডানদিকে সমুদ্রের নীল জলরাশি মনোমুগ্ধকর দৃশ্যের সৃষ্টি করে। বর্ষার সময়ে হিমছড়ির ঝর্ণাকে অনেক বেশি জীবন্ত ও প্রাণবন্ত বলে মনে হয়। হিমছড়িতে পাহাড়ের চূড়ায় একটি রিসোর্ট আছে যেখান থেকে সাগরের দৃশ্য অপার্থিব মনে হয়। অর্থাৎ এখান থেকে সম্পূর্ণ সমুদ্র এক নজরে দেখা যায়। হিমছড়ির প্রধান আকর্ষণ এখানকার ক্রিসমাস ট্রি। সম্প্রতি হিমছড়িতে গড়ে উঠেছে বেশ কিছু পর্যটন কেন্দ্র ও পিকনিক স্পট।

 রামু বৌদ্ধ বিহার

রামু বৌদ্ধ বিহার

বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা রামু। ঐতিহ্যবাহী বৌদ্ধ পুরাকীর্তিসমৃদ্ধ রামুতে রয়েছে অসংখ্য প্রাচীন ঐতিহাসিক নিদর্শন। এগুলোর মধ্যে বৌদ্ধ মন্দির, বিহার ও চৈত্য-জাদি উল্লেখযোগ্য। রামুতে প্রায় ৩৫টি বৌদ্ধ মন্দির বা ক্যাং ও জাদি রয়েছে।

রেডিয়েন্ট ফিস ওয়ার্ল্ড


রেডিয়েন্ট ফিস ওয়ার্ল্ড

রেডিয়েন্ট ফিস ওয়ার্ল্ড কক্সবাজার শহরের ঝাউতলায় অবস্থিত আন্তর্জাতিক মানের ফিস অ্যাকুরিয়াম। লোনা পানি ও মিঠা পানির মাছ সহ বিদেশী মাছের সংগ্রহশালা এটি। এখানে রয়েছে প্রায় ২৫০ প্রজাতির বিরল প্রকৃতির মাছ। যার মধ্যে আছে হাঙ্গর, পাঙ্গাস, থাই সরপুটি, মহাশোল বা গজার, কোরাল, পুঁটি, কুরুমা স্প্রিং, লাল কাঁকড়া, রাইল্যা, কামিলা, বাগদা, গলদা, চিংড়ি, স্টিং রে, আফ্রিকান মাগুর, দেশীয় মাগুর, ফলি, পটকা, ভোল কোরাল, অক্টোপাস, কামিলা, বিদ্যুৎ মাছ, ব্ল্যাক কিং, নীলরঙা ভোল, বাইল্লা, রাজকাঁকড়া, স্টার ফিস, স্টোন ফিস, জেলি ফিস ইত্যাদি। মেরিন সাইন্স নিয়ে পড়বে বা পড়ছে যারা, তাদের গবেষণার কাজেও ভূমিকাও রাখবে এই অ্যাকোরিয়াম।

রামু রাবার বাগান

রামু রাবার বাগান

পাহাড়ি টিলা আর সবুজ ও সুশৃঙ্খল গাছের ছায়াতলে যদি নিজেকে বিলিয়ে দিতে চান, তাহলে রামু রাবার বাগান আপনার জন্য একটি আদর্শ স্থান। সারা বছর ভ্রমণের উপযোগী একটি জায়গা। সারি সারি রাবারগাছের বাগানে ঢুকলে মন হারিয়ে যায় সবুজের সমারোহে। যতই ভেতরে ঢুকবেন ততই যেন বিশালতা মুগ্ধ করবে আপনাকে। সে এক অদ্ভুত রোমাঞ্চকর সৌন্দর্য। নিবিষ্ট মনে প্রকৃতিতে অবগাহন করতে করতে কখন বেলা গড়িয়ে যাবে টেরও পাবেন না।

 মহেষখালী সোনাদিয়া দ্বীপ


সোনাদিয়া দ্বীপ

সোনাদিয়া কক্সবাজার জেলাধীন মহেশখালী উপজেলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ একটি দ্বীপ । দ্বীপটির আয়তন ৭ বর্গ কিলোমিটার। কক্সবাজার জেলা সদর থেকে ১৫ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নে সোনাদিয়া অবস্থিত।

মহেশখালী বৌদ্ধ মন্দির


মহেষখালী বৌদ্ধ মন্দির

মহেশখালীতে অনেক দর্শনীয় স্থানের মধ্যে অন্যতম শতাব্দীর পুরানো ঐতিহাসিক বৌদ্ধ মন্দির। রাখাইন সম্প্রদায়ের বৌদ্ধ মন্দির দেখার জন্য মহেশখালীতে প্রতিনিয়ত পর্যটকদের সমাগম ঘটে।মূল মন্দির আনুমানিক প্রায় ২৮৩ বৎসর পূর্বে নির্মিত হয়। বড় পিতলের মুর্তিটি ১০১ বৎসর পূর্বের এবং এটি বাংলাদেশের মধ্যে ২য় বৃহত্তম বৌদ্ধমুর্তি।

আদিনাথ মন্দির

আদিনাথ মন্দির

আদিনাথ মন্দির বাংলাদেশের বিখ্যাত অন্যতম হিন্দু মন্দির। এটি বাংলাদেশের উপকূলীয় শহর কক্সবাজার থেকে ১২ কিমি দূরের দ্বীপ মহেশখালীতে অবস্থিত। হিন্দু সম্প্রদায়ের দেবতা দেবাদিদেব মহাদেবের নামানুসারে এ মন্দির প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় মন্দিরটি শিব মন্দিরও নামেও বহুল প্রচলিত।

২>সুন্দরবন 

সুন্দরবন 
সুন্দরী গাছ

সুন্দরবন হলো বঙ্গোপসাগর উপকূলবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত একটি প্রশস্ত বনভূমি যা বিশ্বের প্রাকৃতিক বিস্ময়াবলীর অন্যতম। বাংলাদেশের সেরা দর্শনীয় স্থান বা পর্যটন কেন্দ্রের মধ্যে সুন্দরবন অন্যতম ।  গঙ্গা, মেঘনা ও ব্রহ্মপুত্র নদীত্রয়ের অববাহিকার বদ্বীপ এলাকায় অবস্থিত এই অপরূপ বনভূমি বাংলাদেশের খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট জেলা এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দুই জেলা উত্তর চব্বিশ পরগনা ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জুড়ে অবস্থিত। সমুদ্র উপকূলবর্তী নোনা পরিবেশের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন হিসেবে সুন্দরবন বিশ্বের সর্ববৃহৎ অখণ্ড বনভূমি! সুন্দরী গাছের নামানুসারে সুন্দরবনের নামকরন করা হয়েছে। সুন্দরী গাছ ছাড়াও রয়েছে গরান, বাইন গেওয়া ইত্যাদি গাছ।  প্রাণীর ভিতর রয়েছে বাঘ (দি রয়েল বেঙ্গল টাইগার), সিংহ, হরিণ, হাতি, কুমির ইত্যাদি।        
           
সুন্দরবন এ দেখার মত আরও রয়েছেঃ

জামতলা সৈকত, কটকা  

জামতলা সৈকত, কটকা

খুলনা শহর থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার এবং মংলা থেকে ১০০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত কটকা। কটকার অন্যতম আকর্ষণ হলো চিত্রা হরিণের দল। যখন কটকার কাছাকাছি পৌঁছাবেন তখন লঞ্চ থেকেই বনের দুপাশে দেখতে পাবেন হরিণের দল। কটকার মেইন পয়েন্টের একপাশে রয়েছে কটকা সি বিচ আর অপর পাশে কটকা অভয়ারণ্য। মেইন পয়েন্ট থেকে ৩০ মিনিটের মতো বনের ভেতর দিয়ে হাঁটলেই আপনি পৌঁছে যাবেন কটকা সি বিচে৷

মান্দার বাড়িয়া সৈকত


মান্দার বাড়ীয়া সৈকত

মান্দারবাড়ীয়া সাতক্ষীরা জেলায় অবস্থিত বঙ্গোপসাগরের তীরভূমি জুড়ে ৮ কিলোমিটার লম্বা এক নয়নাভিরাম বালুকাময় সমুদ্র সৈকত। এখানে একই সাথে বন এবং সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য্য উপভোগ করা যায়। এই যাত্রাপথ পাওয়া যাবে আরো বিশাল নদী যার উভয় পাশেই দেখা যাবে চিরহরিৎ সুন্দরবন। সবুজের রাজ্য আপনার চোখ জুড়িয়ে দিবে। সুন্দরী, কেওড়া, বাইন, পশুর, গরান, গোলপাতা, সিংড়া, হেতাল, খলসী, গেওয়া গাছের সম্মিলনে এখানে ঘটেছে সবুজের মিলনমেলা। ম্যানগ্রোভ ফরেষ্টের শ্বাসমূল আর সেখানে হরিণসহ নানা প্রাণীর ছুটে চলা আপনাকে বিমোহিত করে রাখবে। নয়ন ভরে দেখার মত সে দৃশ্য। পানকৌড়ি আর বালিহাসের উড়ে যাওয়া দেখতে দেখতে পৌছে যাবেন মান্দারবাড়িয়া সমুদ্র সৈকতে।

 হিরন পয়েন্ট

হিরন পয়েন্ট

হিরণ পয়েন্ট, বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত পৃথিবীর সর্ববৃহৎ লোনাবন (mangrove forest) সুন্দরবনের দক্ষিণাংশের একটি সংরক্ষিত অভয়ারণ্য। এর আরেক নাম নীলকমল। প্রমত্তা কুঙ্গা নদীর পশ্চিম তীরে, খুলনা রেঞ্জে এর অবস্থান। হিরণ পয়েন্ট, ইউনেস্কো ঘোষিত অন্যতম একটি বিশ্ব ঐতিহ্য (World Heritage)। হিরণ পয়েন্টে গেলেই কাঠের একটি ট্রেইল পাবেন। এই ট্রেইলটি ধরে বনের ভেতরে অনেক দূর পর্যন্ত যেতে পারবেন, নিজের কাছেই তখন মনে হবে হয়তো হারিয়ে যাচ্ছেন গহীন বনে।

দুবলার চর

দুবলার চর

কটকা থেকে ২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে দুবলার চরের অবস্থান। অনেকে আবার এটাকে চিনে শুঁটকি পল্লী হিসেবেও। নানা প্রজাতির মাছ আর কাঁকড়া পাওয়া যায় এখানে। দুবলার চরে নামলেই দেখতে পারবেন খালি শুঁটকি আর শুঁটকি। তবে জায়গাটা এককথায় অসাধারণ। বিকেলের দিকে দুবলার চরে যেতে পারলে সময়টা ভালোই কাটবে। এই চরে নেমে ১০ মিনিটের মতো হাঁটলে একটি বাজার পাবেন। অনেকে বলে এই বাজারের নাম নিউমার্কেট। সন্ধ্যার পরে চাইলে সেখান থেকে ঘুরেও আসতে পারেন।

করমজল


করমজল

মংলা ঘাট থেকে ট্রলারে করেই যেতে পারবেন করমজলে। মংলা ঘাট থেকে করমজল যেতে সময় লাগে দেড় ঘণ্টার মতো। করমজলে নেমেই দেখতে পাবেন সুন্দরবনের বড় একটি মানচিত্র। তারপর সামনে এগোলেই দেখতে পাবেন দেয়ালে, গাছে সব জায়গায় বানর ঘুরে বেড়াচ্ছে। আর সামনেই পাবেন কাঠের ট্রেইল। ট্রেইলের একপাশ দিয়ে হাঁটা শুরু করে বনের ভেতরে ঘুরতে ঘুরতে দেখবেন আবার আগের জায়গায়ই ফিরে এসেছেন। ট্রেইল ধরে সামনে আগালেই চোখে পড়বে ওয়াচ টাওয়ার। ওয়াচ টাওয়ারে উঠে চাইলেই দেখে নিতে পারবেন বনের চারপাশ।

হাড়বাড়িয়া 


হাড়বাড়িয়া

করমজল থেকে অল্প কয়েক কিলোমিটার দূরেই হাড়বাড়িয়ার অবস্থান। হাড়বাড়িয়া যাওয়ার সময় চোখে পড়বে নদীর দুপাশের সৌন্দর্য। তারপর সেখানে পৌঁছানোর পর দেখতে পাবেন কুমিরের অভয়ারণ্য। চোখে পড়বে কুমির, এছাড়াও চোখে পড়বে মায়াবী চোখের মায়া হরিণ।

৩>রাঙ্গামাটি 

রাঙ্গামাটির প্রাকৃতির সৌন্দর্য

বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাংশে ২২°২৭´ থেকে ২৩°৪৪´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১°৫৬´ থেকে ৯২°৩৩´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ জুড়ে রাঙ্গামাটি জেলার অবস্থান। রাজধানী ঢাকা থেকে এ জেলার দূরত্ব প্রায় ৩০৮ কিলোমিটার এবং চট্টগ্রাম বিভাগীয় সদর থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার। এ জেলার দক্ষিণে বান্দরবান জেলা, পশ্চিমে চট্টগ্রাম জেলা ও খাগড়াছড়ি জেলা, উত্তরে ভারতের ত্রিপুরা প্রদেশ এবং পূর্বে ভারতের মিজোরাম প্রদেশ ও মায়ানমারের চিন প্রদেশ অবস্থিত। এটি বাংলাদেশের একমাত্র জেলা, যার সাথে ভারত ও মায়ানমার দুটি দেশেরই আন্তর্জাতিক সীমানা রয়েছে। রাঙ্গামাটি বাংলাদেশের পার্বত্য জেলা গুলোর মধ্যে একটি এবং আয়তনে বাংলাদেশের বৃহত্তম জেলা। ১০টি ভাষাভাষীর ১১টি জনগোষ্ঠীর নিজস্ব সাংস্কৃতিক, নৃতাত্ত্বিক কৃষ্টি এবং প্রকৃতির অপার সৃষ্টি এই জেলা বাংলাদেশের পর্যটনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্থান।

রাঙ্গামাটি ঝুলন্ত ব্রিজ

ঝুলন্ততসেতু
 রাঙ্গামাটির প্রধান আকর্ষণ হল রাঙ্গামাটি ঝুলন্ত ব্রিজ। ব্রিজটি কাপ্তাই হ্রদের উপর নির্মিত। এটি প্রায় ৩৩৫ ফুট লম্বা। ব্রিজটিকে সিম্বল অফ রাঙ্গামাটি নমে ডাকা হয়। ঝুলন্ত এই ব্রিজটি কাপ্তাই লেকের বিচ্ছিন্ন দুই পাড়ের পাহাড়ের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে দিয়েছে। এই ব্রিজ দিয়ে একপাহাড় থেকে অন্য পাহড়ে সহজেই যাওয়া যায়।

এখানেআপনি আরও যা দেখতে পাবেন তা হলঃ

শেখ রাসেল এভিয়ারী এন্ড ইকো পার্ক

শেখ রাসেল ইকো পার্ক

শেখ রাসেল এভিয়ারী এন্ড ইকো পার্কঃ কাপ্তাই অবস্থিত। ইকোপার্কের অন্যতম আকর্ষণ লোহার ব্রিজ বেয়ে কৃত্রিম দ্বীপের চারপাশের পানি ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য উপভোগ করা যায়। পার্কটিতে রয়েছে বাংলাদেশের ধীর্ঘতম (২.৫ কিঃমিঃ) ক্যবল কার। ১৫ মিনিটের এক অসাধারন এডভ্যাঞ্চার উপভোগ করবেন এই ক্যবল কার ভ্রমনে।

 শুভলং ঝর্ণা


শুভলং ঝর্ণা

রাঙ্গামাটি জেলার বরকল উপজেলার শুভলং-এর পাহাড়ি ঝর্ণা ইতোমধ্যে পর্যটকদের কাছে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছে। এই ঝর্ণার নির্মল জলধারা পর্যটকদের হৃদয়ে এক ভিন্ন অনুভূতির কাঁপন তোলে। ভরা বর্ষামৌসুমে মূল ঝর্ণার জলধারা প্রায় ৩০০ ফুট উঁচু থেকে নিচে আছড়ে পড়ে এবং অপূর্ব সুরের মূর্ছনায় পর্যটকদের সযতনে মুগ্ধ করে।

 কাপ্তাই লেক

কাপ্তাই লেক

পার্বত্য চট্রগ্রামে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা রাঙ্গামাটি জেলার কাপ্তাই (Kaptai) উপজেলায় রয়েছে এশিয়ার সবচাইতে বড় লেক কাপ্তাই লেক। সবুজে ঘেরা পাহাড়ি ঝর্ণা, লেকের উপর দিয়ে আঁকাবাঁকা রাস্তা এবং ছোট ছোট পাহাড়ের মুগ্ধকর সৌন্দর্য আপনার জীবনে বয়ে আনবে অনাবিল আনন্দ। কৃত্রিম এই হ্রদটি দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে আয়তনে সবচেয়ে বড়। এই লেকের একদিকে পাহাড়গুলোতে যেমন আছে সবুজে ঘেরা গাছের সমারোহ, অপরদিকে লেকের জলে রয়েছে বহু প্রজাতির মাছ।

 উপজাতীয় জাদুঘর


উপজাতীয় জাদুঘর

রাঙ্গামাটি শহরের শুরুর দিকটায় রয়েছে উপজাতীয় জাদুঘর। এখানে রয়েছে রাঙ্গামাটিসহ পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসরত নানান আদিবাসীদের ব্যবহৃত বিভিন্ন সময়ের নানা সরঞ্জামাদি, পোশাক, জীবনাচরণ এবং বিভিন্ন ধরনের তথ্য।

জুম রেস্তোরা

জুম রেস্তোরা 

ঝুম রেস্তোরাঃ কর্ণফুলী নদীর তীরে অবস্থিত এই ট্যুরিস্ট স্পটটি শেখ রাসেল এভিয়ারী এন্ড ইকো পার্ক থেকে ৬ কিঃমিঃ দূরে অবস্থিত। প্রবেশ ফি ২০ টাকা।এখানে বসে উপভোগ করবেন পাহাড়ী নদী, নদীর বাক, পাহাড় এবং চা বাগান। দুপুরের খাবার এখানেই সেরে নিবেন। আর নৌকায় নদী ভ্রমন মোটেও মিস করবেন না।নদীর দুই পাশে খাড়া পাহাড় ও অরণ্যের কারনে বাংলাদেশের যে কোন নদী অপেক্ষা এখানে নৌ ভ্রমনের স্বাদই আলাদা।


টুকটুক ইকো ভিলেজ

টুকটুক ইকো ভিলেজ

৫০ একর পাহাড়ি জায়গার উপর নির্মিত হয়েছে টুকটুক ইকো ভিলেজ। পুরো জায়গাটিতে ছোট-বড় টিলা রয়েছে অসংখ্য। এখানকার কটেজগুলোও বাঁশ আর কাঠের। উপরে উন্মুক্ত আকাশ, পূর্নিমায় অবাধ জ্যোৎস্না, অমাবস্যায় অগুনতি তারা, দিনে দূর পাহাড়ের হাতছানি, আর কি চাই? চারিদিকে কাপ্তাই এর স্রোতস্বী জলের নৃত্য আর দূর থেকে ভেসে আসা মিষ্টি হিমেল বাতাস এরই ওপর নাম টুকটুক ইকো ভিলেজ।

চিৎমরম গ্রাম ও টাওয়ার

চিৎমরমে মারমাদের জলোৎসব

ঝুম রেস্তরা হতে ৪ কিঃমিঃ দূরে চিৎমরম। এখানে রয়েছে বনবিভাগের নির্মিত ২ টি টাওয়ার। দূরদূরান্তের পাহাড়, কাপ্তাই লেক, কর্নফুলী নদী উপভোগ করা যাবে এই পাহাড় থেকে। হাতে সময় মার্মা অধ্যুষিত এই গ্রামে মার্মাদের কৃষ্টি-কালচার দেখার পাশাপাশি চিৎমরম মন্দিরও ঘুরে দেখতে পারেন।

যমচুক


যমচুক পাহাড়

কাচালং নদীর পাশে প্রাকৃতিক নয়াভিরাম যগচুক পাহাড়। যগচুক বন্দুক ভাংগা ইউনিয়নে সবচেয়ে উচ্চতম পাহাড়। এখানে ১৯৮৮ সালে রাজবন বিহারে দ্বিতীয় বৃহত্তম ভাবনা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়। এই ভাবনা কেন্দ্র থেকে অনেক ভিক্ষু ধ্যান সাধনা করে গেছেন। যমচুক এলাকাটি থেকে পুরো বন্দুক ভাংগা এলাকা অবলোকন করা যায়।

রাইখ্যং পুকুর

রাইখ্যং পুকুর 

রাইখং পুকুর মূলত একটি গভীর প্রা্কৃতিক হ্রদ। এটি রাংগামাটি জেলার বিলাইছড়ি উপজেলাধীন ফারুয়া ইউনিয়নের অর্ন্তগত বড়থলি ওয়ার্ডে অবস্থিত। এটি সমুদ্র সমতল থেকে প্রায় ২,৫০০ ফুঁট উঁচুতে অবস্থিত এবং আয়তনে ৩০ একর প্রায়। এই হ্রদের পাড়ে বহু বছর ধরে ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর বসবাস। এই হ্রদ নিয়ে নানা কল্পকাহিনী রয়েছে। এখানকার পশ্চাৎপদ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী তাদের মনের বাসনা পূর্ণ হওয়ার আশায় নানা পূজা-অর্চনা করে থাকেন।

চিৎমরম বৌদ্ধ বিহার

চিৎমরম বৌদ্ধ বিহার 

পাহাড়ী অঞ্চলের অন্যান্য জেলার ন্যয় রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার কাপ্তাই উপজেলাতেও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের উপাসনার জন্য অনেক বৌদ্ধ বিহার আছে। কিন্তু কাপ্তাই উপজেলার ৩নং চিৎমরম ইউপিতে প্রতিষ্ঠিত বৌদ্ধ বিহারটি সমগ্র পার্বত্য অঞ্চলের জন্য অন্যতম বিহার। মূলত এটি ১৮৫২ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত করে তারা উপাসনা শুরু করেন। পরবর্তীতে ধাপে ধাপে এটি সংস্কার করে আকর্ষণীয় করে তোলেন।

 নির্বাণপুর বন ভাবনা কেন্দ্র

নির্বানপুর বন ভাবনা কেন্দ্র

কুতুকছড়ি ইউনিয়নে ১নং ওয়ার্ডের অর্ন্তগত নির্বাণপুর বন ভাবনা কেন্দ্র(সাবেক র্ধম্মাংকুর বৌদ্ধ বিহার) ১৯৬২ ইং সালে স্থাপিত হয়। ১৯৯৭ ইং সালে ১নং ওয়ার্ড এবং ৩নং ওয়ার্ড সিমানায় প্রায় আনুমানিক ১০০ একর জাগয়া জমির উপর বর্তমানে নির্বাণপুর বন ভাবনা কেন্দ্র স্থানান্তর করা হয়। নির্বাণপুর বন ভাবনা কেন্দ্রের বিহার অধ্যক্ষ শ্রীমৎ: জ্যোতিসার মহাস্থবিরের নেতৃত্বে প্রায় ৫০.০০একর জমি বন বাগান সৃজন করা হয়। বর্তমানে কুতুকছড়ি ইউনিয়নে ইহা একটি দৃষ্টি নন্দন দর্শনীয় স্থান।

কর্ণফুলী পেপার মিলস্ লিমিটেড

কর্ণফুলি পেপার মিল

১৯৫১ খ্রিস্টাব্দে রাঙ্গামাটি কাপ্তাই উপজেলাধীন চন্দ্রঘোনা নামক স্থানে প্রতিষ্ঠিত হয় এশিয়ার বৃহত্তম কাগজের কল কর্ণফুলি পেপার মিলস্ লিমিটেড।

রাঙ্গামাটি-কাপ্তাই সংযোগ সড়ক

কাপ্তাই-রাঙ্গামাটি লিংক রোড

রাঙ্গামাটি-কাপ্তাই সংযোগ সড়কটি অনেক আঁকা-বাঁকা আর উচুঁ-নিচু পাহাড়ি পথ। এই সড়কের দুই পাশের মনোরম দৃশ্য পর্যটকদের নিকট খুবই উপভোগ্য। অনন্য বৈশিষ্ট্যের এমন সড়ক এদেশে আর দ্বিতীয়টি নেই। সড়কের একদিকে সবুজ পাহাড়ের সারি আর অন্যদিকে স্বচ্ছ নীল জলের হ্রদ। পাহাড়ের উপরের রাস্তায় দাড়িয়ে লেক আর পাহাড় দেখা পর্যটকদের নিকট আকর্ষণীয়।

 ফুরমোন পাহাড়

ফুরমোন পাহাড়

কতুকছড়ি যাওয়ার পথে রাস্তার পাশেই এ পাহাড়টি অবস্থিত। এ পাহাড় থেকে পুরো শহর দেখা যায়। অনেক সময় চট্টগ্রাম শহরও দৃষ্টিগোচর হয়। এখানে আছে আন্তর্জাতিক ভাবনা কেন্দ্র।

রাজস্থলী ঝুলন্ত সেতু

রাজস্থলী ঝুলন্ত সেতু

রাঙামাটির একেবারে উত্তরের উপজেলা। ঘাগড়া, কাপ্তাই, রাইখালি, বাঙালহালিয়া পেরিয়ে যেতে হয় সেথায়। আছে ঝুলন্ত ব্রিজ আর প্রকৃতির রহস্যময় শোভা।

রাজবন বিহার

রাজবন বিহার

মূল শহরের অভ্যন্তরে অবস্থিত রাজবন বিহার। ইচ্ছে করলে অনুমতি নিয়ে এখানে উঠাও যাবে। রয়েছে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের ধ্যানের বিশাল গর্ত। আরও আছে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের বিভিন্ন ধর্মীয় মূর্তি। যে জিনিসটি বিশেষ দ্রষ্টব্যজনক সেটি হচ্ছে বৌদ্ধ ধর্মগুরু শ্রদ্ধেয় সাধনানন্দ মহাস্থবির (বনভন্তে)'র মৃতদেহ ভক্তদের দেখার জন্য সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে।

ঐতিহ্যবাহী চাকমা রাজবাড়ি

চাকমা রাজবাড়ি

রাজবন বিহারের পাশেই কাপ্তাই লেকের ছোট্ট একটি দ্বীপজুড়ে রয়েছে চাকমা রাজার রাজবাড়ি। নৌকায় পার হয়ে খুব সহজেই যাওয়া যায় এই রাজবাড়িতে। আঁকাবাঁকা সিঁড়ি ভেঙে উপরে উঠে গাছের ছায়ায় ইট বাঁধানো পথের মাথায় এ সুন্দর বাড়িটি। এখানে আরও রয়েছে চাকমা সার্কেলের প্রশাসনিক দপ্তর।

উপজাতীয় টেক্মটাইল মার্কেট

টেক্সটাইল মার্কেট

রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা শহরের তবলছড়ির ঠিক আগেই উপজাতীয় টেক্মটাইল মার্কেট অবস্থিত। পার্বত্য এলাকার উপজাতি কর্তৃক তৈরিকৃত বিভিন্র পোশাক এবং হস্তনির্মিত বিভিন্ন ক্ষুদ্র শিল্প ক্রয় করা যাবে। পর্যটকদের জন্য এটি একটি আকর্ষণীয় স্থান।

রাঙ্গামাটি ডিসি বাংলো

ডিসি বাংলো

রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসকের বাংলোটির ভিতরে "কোচপানা" নামে একটি জায়গা আছে। মূল বাংলো হতে এ অংশটি বিচ্ছিন্ন। মূল বাংলোর সাথে একটি নয়নাভিরাম ব্রিজের মাধ্যমে কোচপানা সংযুক্ত। এ জায়গাটি যে কাউকেই মুগ্ধ করে। ডি সি বাংলোতে রয়েছে একটি যাদুঘর। ডি সি বাংলোতে প্রবেশ করতে হলে অনুমতি নিতে হবে। ডি সি বাংলোর বাইরেও রয়েছে একটি পার্ক, যেকানে রয়েছে একটি ঘাট ও বসার জায়গা, যেখান থেকে কাপ্তাই হ্রদের সৌন্দর্য বেশ ভাল ফুটে উঠে। এখানে আছে তিনশত বছরের পুরনো একটি চাঁপালিশ বৃক্ষ।

পেদা টিং টি


পেদা টিং টিং 

কাপ্তাই হ্রদের প্রকৃতির মাঝে চলতি পথে কোন একটি টিলার উপর লেখা পেদা টিং টিং এবং চাং পাং।
এই দুইটি রেষ্টুরেন্ট আপনার জন্য চা, কফি আর চিকেন ফ্রাই নিয়ে অপেক্ষা করছে। এছাড়াও এখানে পাওয়া যায় স্থানীয় খাবার "বিগল বিচি", "কচি বাঁশের তরকারী", "কেবাং"। পেদা টিং টিং একটা চাকমা শব্দগুচ্ছ, যার অর্থ হচ্ছে পেট টান টান। অর্থাৎ মারাত্মকভাবে খাওয়ার পর পেটের যে টান টান অবস্থা থাকে, সেটাকেই বলা হয় পেদা টিং টিং। রাঙ্গামাটি শহর থেকে মাত্র ৪-৫ কিলোমিটার দূরে কাপ্তাই হ্রদের ভসমান একটি পাহাড়ে অবস্থিত এই পর্যটন সংস্থা।

নৌ-বাহিনীর পিকনিক স্পট

নৌবাহিনীর পিকনিক স্পট

নৌ বাহিনীর পিকনিক স্পটটি বিশাল এলাকাজুড়ে ছোট ছোট অনেকগুলো বিনোদন স্পট তৈরি করা হয়েছে কাপ্তাই লেকের পাড়ে। সবুজের ঝোঁপ-ঝাড়ের ফাকেঁ ফাকেঁ নিজেকে আড়াল করে বিশাল কাপ্তাই লেকের সৌন্দর্য অবলোকন করা যাবে। লুকোচুরি খেলার এ এক অনন্য জায়গা। পাহাড়ের আড়ালে নিজেকে হারিয়ে অনুভব করা যাবে অনাবিল প্রশান্তি। ইঞ্জিনবোটযোগে কাপ্তাই লেক ভ্রমণসহ রাঙ্গামাটি ঘুরে আসা যাবে।

ন-কাবা ছড়া ঝর্না,

ন-কাবা ছড়া ঝর্না

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের অনন্য মনলোভা দর্শনীয় স্থান হল ন-কাবা ছড়া ঝর্ণা। পানি প্রবাহিত ছড়ায় পাথরের উপর আঁকা-বাঁকা পাহাড়ি পথ হেঁটে এই ঝর্ণা দেখতে যাওয়াও রোমাঞ্চকর। এখানে দর্শনার্থীরা লেকের স্বচ্ছ জলরাশি ও সবুজ পাহাড়ের দূরের দৃশ্যাবলী অবলোকন করে।

আর্যপুর ধর্মোজ্জ্বল বনবিহার

আর্যপুর ধর্মোজ্জল বনবিহার

বাঘাইছড়ি উপজেলা সদর হতে সড়কপথে মাত্র ৩ কি.মি দুরে বনবিহার অবস্থিত। অনুমতি সাপেক্ষে এখানে প্রবেশ করে দেখতে পাবেন পাহাড়ের উপর মনোরম পরিবেশে বৌদ্ধদের সাধনা কেন্দ্র। প্রায় ২০ একর এলাকাজুড়ে বেষ্টনির মধ্যে আগর বাগান রয়েছে। এছাড়াও নানা রকম ফল-ফলাদির বাগানও রয়েছে এখানে।

 ডলুছড়ি জেতবন বিহার

ডুলুছড়ি জেতবন বিহার
বৌদ্ধদের প্রধান ধর্মীয় গুরু শ্রদ্ধেয় বনভান্তের শিষ্য শ্রীমৎ যোগাসিদ্দি মহাস্থবির। তিনি ডুলুছড়ি জেতবন বিহারটি প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি এ বিহারের যাবতীয় আবাসিক ভবনাদি নকশা করেন। এই বিহারের আবাসিক ভবনগুলোর নির্মাণশৈলী খৃবই সুন্দর। উপজেলা সদর হতে এ বিহারের দূরত্ব ৩ কি. মি.(প্রায়)। মোটর সাইকেলযোগে এ বিহারে যাওয়া যায়।

বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র

বেতবুনিয় ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র

রাঙ্গামাটি জেলার কাউখালী উপজেলার বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র দেশের প্রথম ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র। ৩০ জানুয়ারী ১৯৭০ খ্রি: তারিখে তৎকালীন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল আগা মোহাম্মদ ইয়াহিয়া খান বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। পরবর্তীতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৪ জুন ১৯৭৫ খ্রি: বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ উদ্বোধন করেন। বর্তমানে উক্ত কেন্দ্রের মাধ্যমে সৌদি আরব, সিঙ্গাপুর, হংকং, ওমান, পাকিস্তান, কুয়েত, কাতার, বাহরাইন, জাপান, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মুম্বাই অর্থাৎ মোট ১১ টি দেশের সাথে টেলিফোন ডাটা কমিউনিকেশন, ফ্যাক্ম, টেলেক্ম ইত্যাদি আদান-প্রদান করা হয়। প্রায় ৩৫,৯০০ কি.মি. বা ২২,৩০০ মাইল উর্ধ্বাকাশে অবস্থিত কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে শক্তিশালী এন্টেনার দ্বারা বার্তা/তথ্য আদান-প্রদানের কাজ সম্পাদিত হয়।

কাপ্তাই জাতীয় উদ্যান


কাপ্তাই জাতীয় উদ্যান

নদী, পাহাড় আর সবুজের সহাবস্থান নিয়ে প্রকৃতির এক অপরুপ সৌন্দর্য হলো কাপ্তাই জাতীয় উদ্যান। পাহাড়রাশি আর চিত্তাকর্ষক উদার প্রকৃতির অপূর্ব সমন্বয় ঘটেছে এ জাতীয় উদ্যানে। উদ্যানের ভিতরের সেগুন, পারুল, গামারী আর কড়ই গাছের সারির মাঝে পর্যটকরা খুজে পাবেন অফুরন্ত আনন্দের উৎস।

 কাট্টলী বিল 

অপরূপ কাট্টলী বিল

ইহা কাপ্তাই লেকের সর্ববৃহৎ বিল। যা ভরা মৌসুমে যখন পানি কানায় কানায় পরিপূর্ণ থাকে তখন তার অপরুপ সৌন্দর্য নৌকাযোগে ঘুরে ঘুরে অবলোকন করা  যায়। বিলের দুই পাড়ে বড় বড় পাহাড় অবস্থিত। চারদিকে লেকের পানিবেষ্টিত কাট্টলী। দূর থেকে অপরূপ সুন্দর লাগে। ঝাঁকে ঝাঁকে পাখির  ওড়াউড়ি তো আছেই।

সাজেক ভ্যালি

সাজেক ভ্যালি

বাংলাদেশের রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলায় সাজেক ভ্যালি অবস্থিত। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এটির উচ্চতা ১৮০০ ফুট এবং রাঙামাটি জেলার সর্বউত্তরের মিজোরাম সীমান্তে এই সাজেক ভ্যালি অবস্থিত। সাজেকে সর্বত্র মেঘ, পাহাড় আর সবুজ। এখান থেকে সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত দেখা যায়। সাজেকে একটা ব্যতিক্রমী ব্যাপার হচ্ছেঃ এখানে আপনি ২৪ ঘণ্টায় প্রকৃতির তিনটা রূপই দেখা পাবেন। কখনো খুবই গরম, পরেই হটাৎ বৃষ্টি এবং তার কিছু পরেই হয়তো চারদিকে ঢেকে যায় মেঘের চাদরে! মনে হয় যেন একটা মেঘের উপত্যকা। সাজেকের রুইলুই পাড়া থেকে ট্রেকিং করে কংলাক পাহাড়-এ যাওয়া যায়। কংলাক হচ্ছে সাজেকের সর্বোচ্চ চূড়া। কংলাকে যাওয়ার পথে মিজোরাম সীমান্তের বড় বড় পাহাড়, আদিবাসীদের জীবনযাপন, চারদিকে মেঘের আনাগোনা দেখা যায়। এখানে বছরের নির্দিষ্ট সময়ে উপজাতিয় উৎসব অনুষ্ঠিত হয় এবং তাদের সংস্কৃতির নানা উপকরণ উপভোগ করা যায়। এখানে দেখার মত আরও রয়েছেঃ

রুইলুই পাড়া

রুইলুই পাড়া

রুইলুই পাড়া থেকে মেঘবালিকাদের উড়তে দেখা যায়। লাল-সাদা নানা ফুল ফুটে আছে পুরো রুইলুই পাড়ায়। শুভ্রসাদা মেঘের সারি! এক মোহনীয় দৃশ্য! চম্বুকময়তার আবেশীয় পরিবেশ কখনও ভুলে যাওয়ার নয়! রোজ সকালে বা ভোরবেলায় রুইলুই পাড়াময় মেঘ ভাসে। বিকালবেলা পাহাড়ের সবুজ অংশ বের হয়। রাতে পর্যটকদের জীবন্ত আড্ডায় পুরো রুইলুই পাড়া জেগে ওঠে।

কমলক ঝর্ণা

কমলক ঝর্না

সাজেক এর রুইলুই পাড়া থেকে দুই থেকে আড়াই ঘন্টার ট্রেকিং করে দেখে আসতে পারেন সুন্দর কমলক ঝর্ণাটি। কমলক ঝর্ণাটি অনেকের কাছে পিদাম তৈসা ঝর্ণা অথবা সিকাম তৈসা  ঝর্ণা নামে পরিচিত। মাঝে মাঝে মনে হবে আপনি ঠিক পথেই চলছেন তো? তারপর বিশাল এক ঝিরিপথ। আবার মনে হতে পারে আদৌ কি এই পথে কোনো ঝর্ণা আছে? এরপরে জাদিপাই এর মতো একটা ট্রেইল বেয়ে নিচে নামতে হবে। সামনে পড়বে হামহাম এর মত ঝিরিপথ। ঝিরিপথটিও অসম্ভব সুন্দর, এডভেঞ্চারটি ভালো লাগবে আশা করি। রাস্তাটি বর্ষার সময় খুব পিচ্ছিল থাকে তাই খেয়াল রাখবেন চলার সময়। ঝিরিপথ আর বুনো রাস্তা দিয়ে ৮০-৮৫ ডিগ্রি খাড়া পাহাড় বেয়ে নামতে আর উঠতে হবে অনেকখানি। এইভাবে আরো কিছুক্ষন ট্রেক করার পর পৌছে যাবেন ঝর্নার কাছে।

হাজাছড়া ঝর্ণা

হাজাছড়া ঝর্না 

হাজাছড়া ঝর্ণাটি রাঙামাটি জেলায় অবস্থিত একটি প্রাকৃতিক পাহাড়ি ঝর্ণা । সাজেকগামী পর্যটকদের কাছে বর্তমানে ঝর্নাটি অত্যন্ত আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে।মূল রাস্তা হতে ১৫ মিনিট ঝিরিপথ ধরে হেঁটেই পৌঁছানো যায় ঝর্ণার পাদদেশে। ঝর্ণার হীমশিতল পানি আর সবুজেঘেরা ঝিরিপথ পর্যটকদের দৃষ্টি কেড়ে নেয়। শীতকালে এর পানির প্রবাহ কমে যায়।

 দীঘিনালা ঝুলন্ত ব্রিজ

দিঘীনালা ঝুলন্ত সেতু

দুই প্রান্তে চারটি লোহার পিলারের সঙ্গে মোটা লোহার তার যুক্ত করে সেতুটি তৈরি হয়েছে। এতে ব্যবহার করা হয়েছে কাঠের পাটাতন।

৪>জাফলং (সিলেট)

বাংলাদেশের সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় এই জাফলং অবস্থিত।  জাফলং ভারতের মেঘালয় সীমান্ত ঘেঁষে খাসিয়া-জৈন্তা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত। এটা পর্যটকদের জন্য বিখ্যাত জায়গা।  ঢাকা থেকে জাফলং এর দূরত্ব প্রায় ২৯৭ কিলোমিটার আর সিলেট শহর থেকে ৬২ কিলোমিটার। জাফলং এর প্রধান আকর্ষন হল ভারতের ডাউকি বন্দরের ঝুলন্ত সেতু। সাথে পাহাড়ি ঝর্না, পাথর ও ঝর্ণার সচ্ছ পানি। পাহাড় এবং প্রাকৃতিক ঝর্না এক স্বর্গীয় আবহ আপনাকে ভিন্ন জগতে নিয়ে যাবে।
জাফলং 

জাফলং এ দেখার মত আরও রয়েছেঃ

লালাখাল

লালাখাল

‘লালাখাল’ সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায় একটি পর্যটন এলাকা এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থান। লালাখালের পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে সারি গোয়াইন নদী। সেই নদীতে অসংখ্য বাঁক রয়েছে। নদীটির কূলে পাহাড়ি বন, চা-বাগান এবং নানা প্রজাতির বৃক্ষরাজি রয়েছে।

 তামাবিল


তমাবিল বন্দর

তামাবিল বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় এখান থেকে সরাসরি ভারতের পাহাড়, পর্বত, ঝর্ণা, জলপ্রপাত দেখা যায়। সীমান্তের ওপারে অনেক গুলো জলপ্রপাত রয়েছে এই জলপ্রপাত গুলো বিকাল বেলা ও গোধূলির সময় দেখতে চমৎকার লাগে। নয়নাভিরাম এসব দৃশ্য দেখতে প্রতিদিন শত শত দর্শনার্থী ভিড় জমায় তামাবিল সীমান্তে। কয়লা ও সাদা পাথর সহ অন্যান্য পাথর এই স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি করা হয় যা সমগ্র বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় স্থলপথ এর মাধ্যমে সরবরাহ করা হয় ,এটি বাংলাদেশের শেষ বাড়ি , যা বাংলাদেশ–ভারত সীমান্তে অবস্থিত, এবং জৈন্তা হিল রিসোর্টের জন্য বিখ্যাত।

 জৈন্তাপুর


জৈন্তাপুর সারঘাট

মেগালিথ (প্রাগৈতিহাসিক যুগের প্রকান্ড প্রস্তর নিদর্শন) যুগের ধ্বংসাবশেষের জন্য খ্যাত। সিলেট বিভাগীয় শহর থেকে ৪০ কিমি উত্তরে ও জৈন্তা পাহাড়ের পাদদেশে এটি অবস্থিত। অঞ্চলটির উত্তর ও পূর্ব দিকে রয়েছে অসংখ্য পাহাড়, সূতপ ও উপত্যকা এবং পশ্চিম ও দক্ষিণাংশে রয়েছে নিচু সমতল ভূমি ও অসংখ্য জলাশয়, যা আঞ্চলিকভাবে হাওড় হিসেবে পরিচিত। প্রাচীন যুগে বর্তমানের এ নিচু অঞ্চলটি সম্ভবত পানির নিচে ছিল এবং হয়তোবা কোনো একটি জলশয় দ্বারা সে সময় জৈন্তাপুর ও সিলেট বিচ্ছিন্ন ছিল। অঞ্চলটির ভূতাত্ত্বিক গঠনের জন্যই এটি দীর্ঘ দিন স্বাধীন ছিল এবং জৈন্তাপুর রাজ্য হিসেবে সুপরিচিত ছিল। এভাবেই এ অঞ্চলটি মহাকাব্য, পৌরাণিক কাহিনী ও তান্ত্রিক সাহিত্যে উল্লিখিত হয়েছে।

সংগ্রামপুঞ্জি ঝর্ণা

সংগ্রামপুন্জি ঝর্না 

ভারত সীমান্ত-অভ্যন্তরে থাকা ডাউকির উঁচু পাহাড়শ্রেণী থেকে নেমে আসা একটি ঝর্ণা হলো সংগ্রামপুঞ্জি জলপ্রপাতের উৎস। পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ। মৌসুমী বায়ুপ্রবাহের ফলে বর্ষাকালে প্রবল বৃষ্টিপাতে প্রান ফিরে পায় জলপ্রপাতটি, আর হয়ে ওঠে জলে টইটম্বুর। জলপ্রপাতের পানির স্বচ্ছতাও এর আকর্ষণের অন্যতম কারণ। তাছাড়া পাহাড়ের মাথায় মেঘের দৃশ্যও যথেষ্ট মনোরম। বৃষ্টির সময় মেঘ, বৃষ্টি, পাহাড়, নদীর স্বচ্ছধারা এক অপার্থিব মায়াবি সৌন্দর্য্যের অবতারনা করে। তাই অনেকে কাছে এটি মায়াবী ঝর্ণা নামেও পরিচিত।

ডাউকিঝুলন্ত সেতু

ডাউকি ঝুলন্ত সেতু

ডাউকি ব্রীজ, আমগট নদীর উপর নির্মিত একটি ঝুলন্ত সেতু। এটা ব্রিটিশদের দ্বারা ১৯৩২ সালে নির্মিত হয়েছিল।

৫>সেন্টমার্টিন

সেন্ট মার্টিন 

বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার অন্তর্গত টেকনাফ উপজেলা একটি ইউনিয়ন হল সেন্টমার্টিন। এটি নারিকেল জিঞ্জিরা নামেও পরিচিত। সেন্টমার্টিন বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ। সেন্টমার্টিন এর আয়তন ৮ বর্গ কিলোমিটার। ঢাকা থেকে  এর দূরত্ব ৪০৫ কিলোমিটার আর কক্সবাজার শহর থেকে ১২০ কিলোমিটার। এখানে প্রতিদিন দেশীী বিদশী প্রচুর ভ্রমনপিপাশু পর্যটক এসে থাকেন। সারি  সারি নারিকেল গাছ এ দ্বীপকে করেছে অনন্য, যা ভ্রমণ পিয়াসী মানুষকে আকর্ষিত করে।

এখানে আপনি িআরও দেখতে পাবেন:

 ছেড়া দ্বীপ


ছেড়া দ্বীপ
ছেঁড়া দ্বীপ হলো বাংলাদেশের মানচিত্রে দক্ষিণের সর্বশেষ বিন্দু। দক্ষিণ দিকে এর পরে বাংলাদেশের আর কোনো ভূখণ্ড নেই। সেন্ট মার্টিন থেকে বিচ্ছিন্ন ১০০ থেকে ৫০০ বর্গমিটার আয়তনবিশিষ্ট কয়েকটি দ্বীপ রয়েছে, যেগুলোকে স্থানীয়ভাবে 'ছেঁড়াদিয়া' বা 'সিরাদিয়া' বলা হয়ে থাকে। ছেঁড়া অর্থ বিচ্ছিন্ন বা আলাদা, আর মূল দ্বীপ-ভূখণ্ড থেকে কিছুটা বিচ্ছিন্ন বলেই এ দ্বীপপুঞ্জের নাম ছেঁড়া দ্বীপ।

 বিভন্ন ধরনের প্রবাল ও শৈবাল 

শৈবাল

সেন্ট মার্টিন্স দ্বীপে প্রায় ৬৬ প্রজাতির প্রবাল, ১শ ৮৭ প্রজাতির শামুক-ঝিনুক, ১শ ৫৩ প্রজাতির সামুদ্রিক শৈবাল, ১শ ৫৭ প্রজাতির গুপ্তজীবী উদ্ভিদ, ২শ ৪০ প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ, চার প্রজাতির উভচর ও ১শ ২০ প্রজাতির পাখি পাওয়া যায়। স্থানীয়ভাবে পেজালা নামে পরিচিত Sea weeds বা অ্যালগি (Algae) এক ধরনের সামুদ্রিক শৈবাল সেন্ট মার্টিন্সে প্রচুর পাওয়া যায়। এগুলো বিভিন্ন প্রজাতির হয়ে থাকে তবে লাল অ্যালগি (Red Algae) বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে জনপ্রিয়।

 কেয়া বাগান

কেয়া বাগান
দ্বীপে কেওড়া বন ছাড়া প্রাকৃতিক বন বলতে যা বোঝায় তা নেই। তবে দ্বীপের দক্ষিণ দিকে প্রচুর পরিমাণে কেওড়ার ঝোপ-ঝাড় আছে। দক্ষিণ দিকে কিছু ম্যানগ্রোভ গাছ আছে। অন্যান্য উদ্ভিদের মধ্যে রয়েছে কেয়া, শ্যাওড়া, সাগরলতা, বাইন, নারিকেল গাছ ইত্যাদি।

৬>শ্রীমঙ্গল

চা বাগান
যতোদূর চোখ যায় মসৃণ সবুজে ছাওয়া উচুঁ-নিচু টিলা , উপরে নীলাভ আকাশ ।  এদিক ওদিক তাকালেই চোখে পড়ে সবুজ বনাণী আর বর্ণিল সব পাখি । চা বাগান , লেক, হাওর, উঁচু নিচু পাহাড়, ঘন জঙ্গল, খনিজ গ্যাসকূপ আর আনারস, লেবু, পান, আগর ও রাবার বাগান দিয়ে সাজানো অদ্ভুত সুন্দর এই স্থানটির নাম শ্রীমঙ্গল। শুধু তাই নয় বাংলাশের সবচেয়ে বেশি শীত প্রধান অঞ্চল, সবচেয়ে বৃষ্টি প্রধান অঞ্চল হিসেবেও শ্রীমঙ্গল। বৃষ্টিতে ভিজতে কিংবা কন কনে শীত অনুভব করতে আপনি দুটি মৌসুমেই শ্রীমঙ্গল বেড়াতে আসতে পারেন।

এছাড়াও রয়েছেঃ

বাইক্কা বিল অভয়াশ্রম


বাইক্কা বিল

অতিথি আর দেশীয় পাখির কলকাকলিতে মুখরিত ৪২৫ দশমিক ১৫ বর্গকিলোমিটার আয়তনের বাইক্কা বিল। বিভিন্ন প্রজাতির গাছ, মাছ ও পাখি; এছাড়াও বিলের পাড়ে ঘন সবুজ বন। এমন দৃশ্য খোলা চোখে দেখতে কাদামাটির ভাঙাচোরা রাস্তা মাড়িয়ে ওখানে ছুটে আসেন পর্যটকেরা।

সীতেশ বাবুর চিড়িয়াখানা

সিতেশ বাবুর চিড়য়াখান

সিতেশ বাবুর চিড়িয়াখানা শ্রীমঙ্গল উপজেলা একটি সমৃদ্ধ ও একমাত্র চিড়িয়াখানা। চিড়িয়াখানটি শ্রীমঙ্গলের হাইল হাওরের কাছাকাছি, শ্রীমঙ্গল শহর থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে, ১.৮০ একর এলাকাজুড়ে সিতেশ রঞ্জন বাবুর রুপস্পুর মৎস্য খামার বাড়িতে অবস্থিত। বাংলাদেশের অন্যতম পর্যটন শহর শ্রীমঙ্গলে এই চিড়িয়াখানা স্থাপিত হওয়ায় বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের পর্যটকসহ বিদেশি অনেক পর্যটকও উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় ভিড় করেন এ চিড়িয়াখানায়।

বাংলাদেশ চা গবেষণা কেন্দ্র( বিটিআরআই)

বিটিআরআই

 পাকিস্তান চা বোর্ড, ১৯৫২ সালে পূর্ব পাকিস্তানে একটি চা গবেষণা ষ্টেশন প্রতিষ্ঠা করে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ সরকার ষ্টেশনটিকে একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানে উন্নীত করে।ভারতের আসামের পরেই উপমহাদেশের সবচেয়ে পুরাতন চা গবেষণা কেন্দ্র রয়েছে শ্রীমঙ্গলে। যা দেখতে প্রচুর পর্যটক আসে ।বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউটটি বাংলাদেশ ন্যাশনাল এগ্রিকালচার্যােল রিসার্চ সিস্টেম (নার্স)-এর অন্তর্ভূক্ত ১০টি জাতীয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অন্যতম।

মসজিদুল আউলিয়া

মসজিদুল আউলিয়া

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের লীলাভূমি ও চায়ের রাজধানী খ্যাত উপজেলা মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে পাহাড়ের চূড়ায় নির্মাণ করা হয়েছে একটি দৃষ্টিনন্দন মসজিদ। তুর্কি নকশায় নির্মিত মসজিদটি দেখতে এবং নামাজ আদায় করতে প্রতিদিনই ভিড় করছেন অসংখ্য পর্যটক। মসজিদটির নাম দেয়া হয়েছে মসজিদুল আউলিয়া খাজা শাহ্ মোজাম্মেল হক (রহ:)।

 রমেশ রাম গৌড় এর ৭ কালারের চা

নীলকন্ঠ চা কেবিন

বেড়ানো শেষে শরীর ক্লান্তি আসলে চলে যেতে পারেন বিটিআরআই সংলগ্ন রামনগরে চা শ্রমিক রমেশে রাম গৌড় এর আবিষ্কৃত পাঁচ রঙ্গা চা- এর দোকান নীলকন্ঠ চা কেবিনে। রমেশ রাম গৌঢ়ের নীলকন্ঠ চা কেবিনে একই পাত্রে পাঁচরঙ্গা চা ছাড়াও আরো বেশ কয়েক রকমের চা পাওয়া যায় এক কাপ চা পান করলে দেখবেন আপনার শরীরে ক্লান্তি সরে গিয়ে অনেকটা সতেজতা ফিরে এসেছে । রমেশ রাম গৌঢ় ইতি মধ্যে তার গবেষনা চালিয়ে একই পাত্রে ৮রঙ্গা চা আবিস্কারের কৌশল আয়ত্ব করেছেন। বিশ্বের আর কোথাও এ পযন্ত একই পাত্রে ৭রঙ্গা চা আবিস্কারের খবর পাওয়া য়ায়নি।

 মেঘলা পর্যটন

মেঘলা পর্যটন

মেঘলা পর্যটন কমপ্লেক্স বান্দরবন জেলার প্রবেশ পথে বান্দরবান-কেরাণীহাট সড়কের পাশে পার্বত্য জেলা পরিষদ সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত। বান্দরবান শহর থেকে মেঘলার দূরত্ব মাত্র ৪ কিলোমিটার। মেঘলায় লেকের উপর দুটি ঝুলন্ত ব্রিজ রয়েছে। এছাড়া চিত্তবিনোদনের জন্য আরো আছে সাফারি পার্ক, শিশুপার্ক, চিড়িয়াখানা, উন্মুক্ত মঞ্চ, চা বাগান, ক্যাবল কার ও প্যাডেল বোট।

লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান


লাওয়াছড়া জাতীয় উদ্যান 

চা বাগান দেখা শেষ হয়ে গেলে আপনি চলে যেতে পারেন লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে যেখানে উঁচুুনিচু পাহাড়ের গায়ে সারি বেঁধে দাঁড়িয়ে আছে হাজার হাজার প্রজাতির লাখ লাখ বৃক্ষ । ন্যাশনাল পার্কে প্রবেশ করা মাত্রই আপনি দেখবেন চারিদিকে হাল্কা অন্ধকার রাস্তায় দুপাশের বৃক্ষগুলো দিবাকরের আলোক রশ্মিকে আটকে রেখেছে , মাঝে মাঝে বৃক্ষসারির মগডালে চোখ রাখুন দেখবেন বানর আর হনুমান লাফালাফি করছে ।

রাবার বাগান

রাবার বাগান

শ্রীমঙ্গলে রয়েছে বন শিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশনের সিলেট বিভাগী অফিস । এ আফিসের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে সরকারী ৪টি রাবার বাগান। এ ছাড়াও প্রায় প্রত্যেক বেসরকারী বাগানেও এখন রাবার চাষ করা হচ্ছে। আপনি ইচ্ছে করলে যে কোন একটি রাবার বাগান ঘুরে দেখতে পারেন এবং জানতে পারেন কিভাবে রাবার তৈরী হয়, জানতে পারেন রাবার শমিকের জীবন। আপনি যখন হাজার হাজার রাবার গাছের মধ্য দিয়ে হাঁবেন তখন আপনি দেখবেন গাছের ডালপালা পুরু আকাশটাকে  ঢেকে রেখেছে।

আনারস বাগান

আনারস বাগান

লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে প্রবেশ করতেই চোখ পড়বে আনারসের বাগান , আনারস গাছগুলো নিচ থেকে টিলার উপবে এমন ভাবে গিয়ে  উঠেছে দূর থেকে মনে হবে যেন একদল পিপিলিকা (ডানা মেলে ) সারি বেঁধে উপরে উঠছে । উঠে আসুন একেবারে চূড়ায় যতোটুকু চোখ যায় দেখবেন টিলার পর টিলা শুধু আনারস আর আনারস।

 লেবু বাগান

লেবুবাগান

খুব ভোর উঠে শ্রীমঙ্গল বাজারে যদি যান , তাহলে দেখবেন শুধু লেবু আর লেবু । নিজের চোখকেই অবিশ্বাস্য মনে হবে এতো লেবু শ্রীমঙ্গলে  জম্মে । শ্রীমঙ্গলের চা বাগানের ফাঁকে ফাঁকে রয়েছে শত শত লেবু বাগান ।

ভাড়াউড়া লেক


ভাড়াউড়া লেক
এটি শহর থেকে প্রায় সাত কিলোমিটার দূরে ভাড়াউড়া চা বাগানে। সবুজে ঘেরা চারপাশে চা বাগানে মাঝখানে এই বিশাল লেক। স্থানীয় লোকজনসহ অনেক পর্যটকরা এখন এই লেকটিতে বেড়াতে আসেন প্রতিনিয়ত। লেকের দক্ষিণ-পূর্বে পাঁচ তারকা মানের হোটেল গ্র্যান্ড সুলতানের সীমানা, পশ্চিমে মূল ভাড়াউড়া চা বাগান, উত্তরে রেললাইন ও পূর্বে লাউয়াছড়া। লেকের একেবারে টিলার মাথায় বামে সনাতন ধর্মালম্বীদের দেবতা শিব ঠাকুরের মন্দির। সৌন্দর্যের ভাণ্ডার নিয়ে যেন দাঁড়িয়ে আছে এই লেকটি। চারিদিকে সবুজের সমারোহ সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে দ্বিগুণ।

রাজঘাট লেক

রাজঘাট লেক

এ লেকটি শহর থেকে একটু দূরে পড়েছে । শ্রীমঙ্গল থেকে কালীঘাট কিংবা সিন্দুরখান । ২টি রাস্তা হয়েই সেখানে যাওয়া যায় । বাগানের মধ্যখানেই অবস্থিত এ লেকটির ৩ দিকে চা বাগান ও একদিকে সুইমিংপুল। লেকটিতে ভরে আছে শাপলা আর জলপদ্মে। লেকের পাশে দাঁড়ান দেখবেন অতিথি পাখিরগুলো আপন মনে লেকের পানিতে ঘুরে বেড়াচ্ছে ।

 মাগুরছড়া গ্যাসকূপ

মাগুরছড়া গ্যাসকুপ

হাতে সময় থাকলে মাগুরছড়া গ্যাসকূপটিও দেখে আসতে পারেন , ১৯৯৭ সালের ১৪ জুন এই কূপ খননকালে বিস্ফোরন ঘটে। বিস্ফোরণের দীর্ঘ দিন অতিবাহিত হলেও এখনো আপনার চোখে পড়বে আগুনে পোড়া বৃক্ষগুলো । কিছু কিছু বিশেষজ্ঞের মতে , এটি এশিয়ার সর্ববৃহৎ তেল ও গ্যাসের খনি । এ গ্যাস কুপের পাশেই রয়েছে মার্কিন কোম্পানী সেভরনের জেরিন চা বাগানে ও কালাপুরে গ্যাস কুপ অনুমতি নিয়ে   আপনি গ্যাস কূপ গুলোও দেখে যেতে পারেন।

পান পুঞ্জি

পানের বরজ

শ্রীমঙ্গল উপজেলার বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে খাসিয়া পানের পুঞ্জি ও বাংলা পানের বরজ। আপনি যখন পাহারের উচুঁ টিলায় খাসিয়া দের পান পুঞ্জি দেখতে যাবেন সেখানে পাবেন অন্যরকম এক অনুভূতি। টিলার পর টিলার সুউচ্চ গাছ গুলো সবুজ পানপাতার জামা পড়ে আছে। মনে হবে এ যেন কোন আজগুবি কান্ড। না এটা কোন আজগুবি কিছুনা এটা আপনি যে খাসিয়া পানের পুঞ্জি দেখতে গেছেন সে খাসিয়া পান। হাত দিয়ে ধরতে পারেন, উঠতে পারেন পানের সাথে ছবি।

 ওফিং হিল

ওফিং হিল

এখানে এলে স্থির হয়ে থাকবে আপনার দৃষ্টি । মনে হবে কোনো স্বপ্নপুরী কিংবা জাদুর রাজ্যে আপনি অবস্থান করছেন। অফিং হিলের অর্থ হলো নানা রকমের সৌন্দর্যের সমাহার যা সেখান থেকে অনেক রকমের উপভোগ করা যায়। ভ্রমন শেষে শ্রীমঙ্গলের ভ্রমন এলবামের ছবিগুলো উল্টান । দেখবেন নিমিষেই মন ভালো হয়ে গেছে । চা বাগানের মাঝে কিংবা বিশাল বাংলোর সামনে আপনি দাঁড়িয়ে । মন চাইবে আরেকবার আসতে ।

বার্নিস টিলার আকাশ ছোয়া সবুজ মেলা

বার্নিশ টিলা
বার্নিস টিলা নামটা শুনেই মনের মধ্যে অজানাকে জানার জন্য আচমকা একটা শিহরন দিয়ে উঠবে । আকাশ ছোয়া সবুজ মেলা দেখতে হলে আপনাকে অবশ্যই যেতে হবে বালিশিরা ভ্যালীর বার্নিশ টিলায়।  মনে হবে বিমান কিংবা হেলিকপ্টার থেকে শ্রীমঙ্গল দেখছেন। টিলার একপাশে শুধু চাবাগান অন্য পাশে একের পর এক সবুজ ঠিলা । এ টিলার পরেই বালাদেশের সীমানার সমাপ্তাংশে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য।

 শ্রীমঙ্গলের এক মাত্র ঝর্ণা ‘‘যজ্ঞ কুন্ডের ধারা" 

যজ্ঞকুন্ডের ধারা

শ্রীমঙ্গলে এসে শুধু সবুজের ছোয়া নিবেন তাতো হয়না একটু পানির ছল ছল শব্দ শোনাওতো দরকার। তাই চলে যান শহরের কাছা কাছি জাগ ছড়া চাবাগানের  ১৪ নং সেকশনে যজ্ঞ কুন্ডের ধারায়। সেখানে রয়েছে অপরুপ সুন্দর্য সমৃদ্ধ  শ্রীমঙ্গলের একমাত্র ঝর্ণা। যারা এ ঝর্ণাকে প্রথম দেখবেন তারা অবশ্যই বিষ্মিত হবেন। এটিও ঈশ্বরের অপরুপ একটি সৃষ্টি।

নির্মাই শিববাড়ী

নির্মাই শিববাড়ী
শ্রীমঙ্গলের  ঐতিহ্যবাহী নির্মাই শিববাড়ী ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে একটি আকর্ষনীয় স্থান। এখানে শিব মন্দিরের পাশেই রয়েছে ৯একর জায়গা জুড়ে বিশাল  একটি দিঘী। দিঘীর চারপাশে বিশাল এলাকা জুড়ে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতীর বৃক্ষ সারি। এই দিঘীর পাড়ে বৃক্ষ সারির নিচে বসে আড্ডা কিংবা গল্প করেই আপনি কাটিয়ে দিতে পারেন অনেকটা সময়।

শতবর্ষের স্মৃতি বিজড়িত শ্রীমঙ্গলে ডিনস্টন সিমেট্রি

গনকবর

শতবর্ষের স্মৃতিবিজড়িত সিমেট্রির অবস্থান  শ্রীমঙ্গল শহর থেকে প্রায় ১৫ কি.মি. দূরে জেমস ফিনলে টি কোম্পানির ডিনস্টন চা বাগানের ভেতরে। সিমেট্রি এলাকাজুড়ে কোথাও কোলাহল নেই,সুনসান-নিথর নীরবতা। শতাধিক বছর ধরে জেমস ফিনলে চা কোম্পানির এই সিমেট্রি রক্ষণাবেক্ষণ করছে। ১৮৫৪ সালে সিলেটের মালনিছড়ায় চা বাগান প্রতিষ্ঠার পর ১৮৮০ সালে শ্রীমঙ্গলে বৃটিশরা বাণিজ্যিকভাবে চা চাষ শুরু করে। সুদূর বৃটেন থেকে এখানে টি প্ল্যান্টার্সদের আগমন ঘটে। তৎকালীন সময়ে যেসব বৃটিশ এবং তাদের স্ত্রী-পুত্র,স্বজন মারা যান তাদের ডিনস্টন সিমেট্রিতে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়। পাহাড়ঘেরা চিরসবুজ চা বাগানের মাঝখানে অবস্থিত এ সিমেট্রিতে বৃটিশদের কবর রয়েছে ৪৬ টি।

 আরোগ্য কুঞ্জ

ভেষজ বাগান
লাউয়াছড়া ন্যাশনাল পার্কেই রয়েছে দেশের পূর্বাঞ্চলের একমাত্র ভেষজ বাগান আরগ্য কুঞ্জ। মাগুর ছড়া গ্যাস কুপ পেরিয়ে প্রায় আড়াই কিলো এগুলেই হাতের ডান দিকে চোখে পড়বে ভেষজ বাগান আরগ্য কুঞ্জ। পার্কের ২ একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত এ ভেষজ বাগানে রয়েছে ৭৯ প্রজাতীর ঔষধী গাছ ।

 গ্রান্ড সুলতান রিসোর্ট এন্ড গলফ

গ্রান্ড সুলতান রিসোর্ট 

৭>কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত


কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত
পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া থানার লতাচাপলি ইউনিয়নে কুয়াকাটা অবস্থিত। এটি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের একটি সমুদ্র সৈকত। কৃয়াকাটা ১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত। ঢাকা থেকে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত সড়কপথে দূরত্ব ৩৮০ কিলোমিটার। আর বরিশাল থেকে ১০৮ কিলোমিটার।

কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত সুর্যোদয়

কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে সুর্যাস্ত

কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত এর বিশেষত্ব হচ্ছেঃ আপনি একই স্থানে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত দেখতে পাবেন।

কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের আশেপাশে আরও যে দর্শনীয় স্থান রয়েছেঃ

শুঁটকি পল্লী

শুটকি

কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের পশ্চিম প্রান্তে আছে জেলে পল্লী। এখানে প্রচুর জেলেদের বসবাস। নভেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত এখানে চলে মূলত শুঁটকি তৈরির কাজ। সমুদ্র থেকে মাছ ধরে এনে সৈকতেই শুঁটকি তৈরি করেন জেলেরা। কম দামে ভালো মানের শুঁটকিও কিনতে পাওয়া যায় এখানে।

ক্রাব আইল্যান্ড


লাল কাঁকড়ার দ্বীপ

কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের পূবদিকে গঙ্গামতির জঙ্গল ছাড়িয়ে আরো সামনে গেল আছে ক্রাব আইল্যান্ড বা কাঁকড়ার দ্বীপ। এ জায়গায় আছে লাল কাঁকড়ার বসবাস। নির্জনতা পেলে এ জায়গার সৈকত লাল করে বেড়ায় কাঁকড়ার দল। ভ্রমণ মৌসুমে (অক্টোবর-মার্চ) কুয়াকাট সমুদ্র সৈকত থেকে স্পিড বোটে যাওয়া যায় ক্রাব আইল্যান্ডে।

গঙ্গামাটির জঙ্গল

গঙ্গামাটির জঙ্গল

কুয়াকাটার সমুদ্র সৈকত শেষ হয়েছে পূর্ব দিকে গঙ্গামাটির খালে। এখান থেকেই শুরু হয়েছে গঙ্গামাটির জঙ্গল। অনেকে একে গজমতির জঙ্গলও বলে থাকেন। নানান রকম বৃক্ষরাজি ছাড়াও এ জঙ্গলে আছে বিভিন্ন রকম পাখি, বন মোরগ-মুরগি, বানর ইত্যাদি।

ফাতরার বন


ফাতরার বন

কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের পশ্চিম পাশে নদী পার হলেই সুন্দরবনের শ্বাসমূলীয় বনাঞ্চল, নাম তার ফাতরার বন। সুন্দরবনের সব বেশিষ্ট এ বনে থাকলেও নেই তেমন কোন হিংস্র প্রাণী। বন মোরগ, বানর আর নানান পাখি আছে এ বনে। কদাচিৎ এ বনে বুনো শুকরের দেখা মেলে। কুয়াকাটা থেকে ফাতরার বনে যেতে হবে ইঞ্জিন নৌকায়।

 কুয়াকাটা কুয়া

কুয়া

কুয়াকাটা নামকরণের ইতিহাসের পেছনে যে কুয়া সেটি এখনও টিকে আছে। তবে কয়েক বছর আগে অদূরদর্শী ও কুরুচিকর সংস্কারের ফলে এর সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে গেছে। কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের কাছে রাখাইনদের বাসস্থল কেরাণিপাড়ার শুরুতেই প্রাচীন কুয়ার অবস্থান। জনশ্রুতি আছে ১৭৮৪ সালে বর্মী রাজা রাখাইনদের মাতৃভূমি আরাকান দখল করলে বহু রাখাইন জায়গাটি ছেড়ে নৌকাযোগে আশ্রয়ের খোঁজে বেড়িয়ে পড়েন। চলতি পথে তারা বঙ্গোপসাগরের তীরে রাঙ্গাবালি দ্বীপের খোঁজ পেয়ে সেখানে বসতি স্থাপন করেন। সাগরের লোনা জল ব্যবহারের অনুপযোগী বলে মিষ্টি পানির জন্য তার এখানে একটি কূপ খণন করেন। এরপর থেকে জায়গাটি কুয়াকাটা নামে পরিচিতি পায়।

সীমা বৌদ্ধ মন্দির

সীমা বৌদ্ধ মন্দির

কুয়াকাটার প্রাচীন কুয়ার সামনেই সীমা বৌদ্ধ মন্দির। কাঠের তৈরি এই মন্দির কয়েক বছর আগে ভেঙে দালান তৈরি করা হয়েছে। তবে মন্দিরের মধ্যে এখনও আছে প্রায় ৩৭ মন ওজনের প্রাচীন অষ্টধাতুর তৈরি বুদ্ধ মূর্তি।

কেরানিপাড়া

কেরানীপাড়া

সীমা বৌদ্ধ মন্দির থেকে সামনেই ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী রাখানদের আবাসস্থল কেরানিপাড়া। এখানকার রাখাইন নারীদের প্রধান কাজ কাপড় বুণন। রাখাইনদের তৈরি শীতের চাদর বেশ আকর্ষণীয়।

মিশ্রিপাড়া বৌদ্ধ মন্দির

মিশ্রিপাড়া বৌদ্ধ মন্দির
কুয়াকাটা সৈকত থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দূরে ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী সম্প্রদায় রাখাইনদের একটি গ্রামের নাম মিশ্রিপাড়া। এখানে আছে বড় একটি বৌদ্ধ মন্দির। কথিত আছে এ মন্দিরের ভেতরে আছে উপমাহাদেশের সবচেয়ে বড় বুদ্ধ মূর্তি। এছাড়া এখান থেকে সামান্য দূরে আমখোলা গ্রামে আছে এ অঞ্চলে রাখাইনদের সবচেয়ে বড় বসতি।

কুয়াকাটা ইকোপার্ক 

কুয়াকাটা ইকো পার্ক 

কুয়াকাটা ইকোপার্ক বাংলাদেশের পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলায় অবস্থিত একটি ইকো পার্ক। ২০০৫ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ৫৬৬১ হেক্টর জমি নিয়ে এই উদ্যানটি গঠিত।

৮>বান্দরবান

বাংলাদেশের তিনটি পার্বত্য জেলার মধ্যে একটি এই বান্দরবান। বান্দরবান জেলার নামকরণ নিয়ে একটি কিংবদন্তি রয়েছে। প্রচলিত রূপ কথায়  আছে অত্র এলাকায়  একসময় বাস করত অসংখ্য বানর । আর এই বানরগুলো  শহরের প্রবেশ মুখে  ছড়ার  পাড়ে পাহাড়ে প্রতিনিয়ত লবণ  খেতে আসত। এক সময় অনবরত বৃষ্টির কারণে ছড়ার পানি বৃ্দ্ধি পাওয়ায় বানরের দল ছড়া পাড় হয়ে পাহাড়ে যেতে না পারায়  একে অপরকে ধরে ধরে সারিবদ্ধভাবে ছড়া পাড় হয়। বানরের ছড়া পারাপারের এই দৃশ্য দেখতে পায় এই জনপদের মানুষ।  এই সময় থেকে এই জায়গাটির পরিচিতি লাভ করে "ম্যাঅকছি ছড়া " হিসাবে । অর্থ্যাৎ মার্মা ভাষায় ম্যাঅক অর্থ  বানর  আর ছিঃ অর্থ বাঁধ । কালের প্রবাহে বাংলা ভাষাভাষির সাধারণ উচ্চারণে এই এলাকার নাম রুপ লাভ করে বান্দরবান হিসাবে । ঢাকা থেকে বান্দরবানের দূরত্ব প্রায় ৩৯১ কিলোমিটার। বান্দরবানে রয়েছে অনেক দর্শনীয় স্থান।

বান্দরবন

বান্দরবানের নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক নিদর্শনসমুহ পর্যায়ক্রমে তুলে ধরা হলঃ

নীলগিরি

নীলগিরি

বান্দরবান জেলা সদর থেকে প্রায় ৪৭ কিলোইমটার দক্ষিণ পূর্ব দিকে বান্দরবান-থানছি সড়কে পাহাড় চূড়ায় নীলগিরি পর্যটন কেন্দ অবস্থিত। যে কোনো গাড়িতে চড়ে সরাসরি নীলগিরিতে যাওয়া যায়। সমুদ্র পৃষ্ঠ হতে এর উচ্চতা ২ হাজার ২ শত ফুট। এখানকার প্রকৃতির কারুকাজ সবাইকে মুগ্ধ করে । এই রোদ, এই বৃষ্টি, আকাশে মেঘের গর্জন সেই সাথে রংধনুর হাসিমাখা আলো এক রুশ্মি, বাতাসের সাথে ছন্দ আর তাল মিলিয়ে প্রকৃতির বৈবিত্র্যময় এই পরিবর্তনের দৃশ্যগুলো পর্যটকদের আকৃষ্ট করে।

স্বর্ন মন্দির

স্বর্ন মন্দির

বান্দরবান শহর হতে ৪ কিঃমিঃ দূরত্বে বান্দরবান-রাংগামাটি সড়কের পার্শ্বে পুরপাড়া নামক স্থানে সুউচ্চ পাহাড়ের চূড়ায় স্বর্ণ মন্দির এর অবস্থান। এ স্থানটি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের নিকট তীর্থস্থান হিসেবে পরিচিত। এ মন্দির সোনালী রংয়ের  এক অপূর্ব নির্মাণ শৈলী ও আধুনিক ধর্মীয় স্থাপত্য নকশার নিদর্শনস্বরুপ। এ স্থানটি সবার খুবই আকর্ষনীয়।  স্বর্ণ মন্দির এ আসলে পাশাপাশি সাঙ্গু নদী, বেতার কেন্দ্রসহ বান্দরবানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সহজেই উপভোগ করা যায়।

নীলাচল

নীলাচল

নীলাচল পাহাড়ি এলাকাটি অনেকেই স্বর্গভূমি বলে থাকেন। নীলাচল থেকে সমগ্র বান্দরবান শহর একনজরে দেখা যায়। মেঘমুক্ত আকাশে কক্সবাজারর সমুদ্র সৈকতের অপুর্ব দৃশ্য নীলাচল থেকে পর্যটকেরা উপভোগ করতে পারেন। বিশেষকরে নীলাচলে সুর্যাস্তের দৃশ্য আমাদের মনে স্বর্গীয় অনুভূতি আনে এবং এর নির্মল বাতাসে যেকোন পুরানো রোগনিরাময়ে সহায়ক বলে কথিত আছে।পযটকদের  সুযোগ-সুবিধার কথা চিন্তা করে কটেজও  রেস্টুরেন্ট নির্মাণসহ নীলাচলকে আধুনিক সাজে সজ্জিত করা হচ্ছে।

কেওক্রাডং

কেওকাডং

কেওক্রাডং বা কেওকাড়াডং বাংলাদেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ। এটি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় জেলা বান্দরবানে অবস্থিত। এক সময় এটিকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ ধরা হত। তবে আধুনিক গবেষণায় এই তথ্য ভুল বলে পাওয়া যায়। বর্তমানে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ হল সাকা হাফং।

ডিম পাহাড়

ডিম পাহাড়

ডিম পাহাড় বাংলাদেশের বান্দরবান জেলায় অবস্থিত একটি পাহাড়। পাহাড়টি আলীকদম এবং থানচি উপজেলার ঠিক মাঝখানে অবস্থিত। এই পাহাড় দিয়েই দুই থানার সীমানা নির্ধারিত হয়েছে। এই পাহাড়ের মধ্যে দিয়ে সমুদ্র সমতল থেকে আড়াই হাজার ফুট উঁচুতে নির্মাণ করা হয়েছে বাংলাদেশের সবচেয়ে উঁচু সড়কপথ। আড়াই হাজার ফুট উঁচু এ পাহাড় চূড়ার আকৃতি দেখতে ডিমের মতো হওয়ায় স্থানীয়রা একে ডিম পাহাড় নামেই চেনে।

আলীর গুহা বা আলীর সুড়ঙ্গ

আলীর গুহা

আলীকদম উপজেলায় অবস্থিত এ সুড়ঙ্গটি নিয়ে রয়েছে নানা কিংবদন্তি। গহীন অরণ্যে অবস্থিত হলেও এর রহস্য জয় করতে আসছেন শত শত পযটক। একটি লোহায় সিঁড়ি বেয়ে এ সুড়ঙ্গে যেতে হয়। এটি নিয়ে অনেক কিংবদন্তী প্রচলিত আছে।

মেঘলা পর্যটন কেন্দ্র

মেঘলা পর্যটন কেন্দ্র

মেঘলা পর্যটন কমপ্লেক্স বান্দরবন জেলার প্রবেশ পথে বান্দরবান-কেরাণীহাট সড়কের পাশে পার্বত্য জেলা পরিষদ সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত। বান্দরবান শহর থেকে মেঘলার দূরত্ব মাত্র ৪ কিলোমিটার। মেঘলায় লেকের উপর দুটি ঝুলন্ত ব্রিজ রয়েছে। এছাড়া চিত্তবিনোদনের জন্য আরো আছে সাফারি পার্ক, শিশুপার্ক, চিড়িয়াখানা, উন্মুক্ত মঞ্চ, চা বাগান, ক্যাবল কার ও প্যাডেল বোট

বগা লেক

বগা লেক

বগাকাইন হ্রদ বা বগা হ্রদ বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উচ্চতার স্বাদু পানির একটি হ্রদ।বান্দরবান শহর থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরে বগাকাইন হ্রদের অবস্থান কেওকারাডং পর্বতের গা ঘেষে, রুমা উপজেলায়। এটি প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট পাহাড়ের ওপরে একটি লেক। যার পানির স্তর শীত বষায় কখনোই পরিবতন হয়না। এ লেকটি নিয়ে অনেক কল্পকাহিনী প্রচলিত রয়েছে। কেউ কেউ মনে করেন এখানে ড্রাগনের মুর্তি রয়েছে।

নাফাখুম

নাফাখুম

নাফাখুম জলপ্রপাত বান্দরবান জেলায় অবস্থিত একটি প্রাকৃতিক জলপ্রপাত। মারমা ভাষায় খুম মানে জলপ্রপাত। এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জলপ্রপাত।

চিম্বুক পাহাড়

চিম্বুক পাহাড়

বাংলার দার্জিলিং খ্যাত চিম্বুকের পরিচিত অনেক পুরনো। পাহাড়ের এই দৃশ্যটি অতি চমৎকার।এ পাহাড় থেকৈ সূর্যাস্ত এবং সূর্যোদয়ের দৃশ্য যেকোনো পর্যটককে মুগ্ধ করবে।

শৈলপ্রপাত ঝর্ণা

শৈলপ্রপাত ঝর্না 
শৈলপ্রপাত ঝর্ণা বান্দরবান জেলা শহর থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে বান্দরবান-থানচি রোডের পাশে অবস্থিত। বাংলাদেশে অতিপরিচিত ঝর্ণা গুলোর মধ্যে শৈলপ্রপাত অন্যতম। পর্যটন নগরী বান্দরবানের কাছে হওয়ায় সারা বছরই পর্যটক সমাগমে মুখরিত থাকে স্বচ্ছ ও ঠান্ডা পানির এই ঝর্ণাটি।

মারায়ন তং

মারায়ন তং

বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার পাহাড় রাজ্যের গহিনে মারায়ন তং জাদি পাহাড়। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৬৬০ ফুট ওপরে যার অবস্থান। রোমাঞ্চ আর সৌন্দর্যের সন্ধানে অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমীরা আসতে পারেন মারায়ন তং জাদি পাহাড়ে।

 তিন্দু

তিন্দু

বান্দরবানের থানচি ইউনিয়নের মধ্যে পরে তিন্দু, রেমাক্রি। পাথুরে নদীর পাশ ঘেষে গেছে এই জায়গাগুলি। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে উৎপত্তি এবং বাংলাদেশের জলসীমায় সমাপ্ত যে দুটি নদী রয়েছে সাঙ্গু তার মধ্যে একটি। এখানে সাঙ্গু নদীর তলদেশে পাথর আর পাথর। যেন পাথরের রাজ্য। ছোট আর মাঝারি পাথরের ওপর শ্যাওলার আধিপত্য। এ নদীরই উজানের দিকে একটি এলাকার নাম তিন্দু। তিন্দু মাতৃতান্ত্রিক মারমা ও মুরংদের আবাসস্থল। এখানে প্রায় ৮০০ থেকে ১ হাজার উপজাতি বসবাস করে। তিন্দু থেকে বড় পাথর ঘণ্টাখানেকের পথ। ভয়ংকর খরস্রোতা বাঁক আর সৃষ্টির রহস্যের বড় পাথর, এখানে প্রতিবছর অনেক লোক মারা যায় তাই এই অঞ্চলের অধিবাসীরা এইসব রাজা পাথরের পুজা করে।

 সাতভাইখুম

সাতভাইখুম

বান্দরবানের অমিয়াখুম থেকে মাত্র ১০ মিনিটের রাস্তা পার হলেই আপনার সাথে দেখা হয়ে যাবে আরেক প্রাকৃতিক বিস্ময় সাতভাইখুম ( satvaikhum bandarban )। এই ফাঁকে আপনার জীবনের সবচেয়ে রোমাঞ্চকর ভ্রমণের অভিজ্ঞতাও হয়ে যাবে। মাটি থেকে তিন-চার ফুট উঁচুতে বানানো চারপাশ খোলা টংঘরে, এখানে মে মাসের প্রচণ্ড গরমের রাতেও শীতের কম্বল মুড়ি দিয়ে ঘুমাতে হয়। তার ওপর মাঝরাতের আকাশে চাঁদের তার ঘোলাটে হলদে আলো দেওয়া। জায়গার নাম জিনাপাড়া।

আমিয়াখুম জলপ্রপাত

আময়াখুম জলপ্রপাত

বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তের পাশে অবস্থিত আমিয়াখুম জলপ্রপাতকে দেখা হচ্ছে বাংলার ভূস্বর্গ হিসেবে। কারো কারো মতে, এটা বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর জলপ্রপাত। এর অবস্থান বান্দরবানের থানচি উপজেলার দুর্গম নাক্ষিয়ং নামক স্থানে।

ঋজুক ঝর্ণা

ঋজুক ঝর্না 

ঋজুক জলপ্রপাত বা ঋজুক ঝর্ণা বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্তর্গত বান্দরবনের রুমা উপজেলায় অবস্থিত একটি প্রাকৃতিক জলপ্রপাত। এই জলপ্রপাতে সারা বছর পানি থাকে। তবে, জুলাই- আগস্ট মাসে জলপ্রবাহ সব থেকে বেশি থাকে। এ জলপ্রপাতের পানি শীতল।

যাদিপাই  ঝর্ণা

যাদিপাই ঝর্না 

জাদিপাই ঝর্ণা ( jadipai waterfalls bandarban ) বাংলাদেশের বান্দরবন জেলার রুমা উপজেলায় অবস্থিত। এটি বাংলাদেশের প্রশস্ততম ঝর্ণাগুলোর মাঝে একটি। এই কারণে এই ঝর্ণা বাংলাদেশের অন্যতম আকর্ষণীয় জলপ্রপাত। বর্ষাকালে জলপ্রপাতের পানি প্রবাহ বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় বৃদ্ধি পায়। বর্ষা মৌসুমে দেশের নানা প্রান্ত থেকে সৌন্দর্য্য পিপাসু মানুষ জাদিপাই ঝর্ণা দেখতে ছুটে আসে।

 মিলনছড়ি

মিলনছড়ি

বান্দরবান শহর থেকে প্রায় চার কিলোমিটার দূরে বান্দরবানের চিম্বুক সড়কের মিলনছড়ি ( milonchori bandarban )এলাকায় পাহাড়ের বুকে অবস্থিত হিলসাইট রিসোর্ট। এই রিসোর্টটি বান্দরবান শহর থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন এই রিসোর্টটি দেশের প্রথম রিসোর্ট। উঁচু-নিচু অসমান বিশাল একটা চত্বর জুড়ে অবস্থান রিসোর্টটির।

দামতুয়া ঝর্ণা

দামতুয়া ঝর্না 

কিছু বিস্ময়ের জন্মই হয় প্রকৃতিতে মুগ্ধতা ছড়াতে। কিছু বিশালতার মধ্যে ক্ষুদ্র হয়েও আনন্দে ভাসতে ইচ্ছে করে সারাক্ষণ। বাংলাদেশের প্রকৃতি পরতে পরতে আড়াল করে লুকিয়ে রেখেছে নিজের সেরা সৌন্দর্যগুলোকে।‘তেমনি একটি বিস্ময় দামতুয়া জলপ্রপাত’।


চিংড়ি ঝর্ণা

চিংড়ি ঝর্না 

চিংড়ি ঝর্ণা বাংলাদেশের বান্দরবন জেলায় অবস্থিত। বগালেক থেকে কেওক্রাডং এর পথে ঘণ্টাখানেকের পাহাড়ি পথ হাটলে চিংড়ি ঝর্ণাধারা দেখা যায়। নিচ থেকে ঝর্ণার ছোট একটি অংশ দেখা যায়। মূল ঝর্ণা দেখতে হলে বিশালাকারে পিচ্ছিল পাথরগুলো পার হয়ে ডান দিকে ৯০ ডিগ্রি ঘুরে যেতে হবে।

নীল দিগন্ত

নীল দিগন্ত

নীলাচল পাহাড়ের খানিকটা ণীচে চমৎকার একটি পরিবেশে এর অবস্থান। নীলাচল পযটন কমম্পেক্সের পাশেই এটি অবস্থিত।

সাইরু হিল রিসোর্ট 

সাইরু হিল রিসোর্ট 

সাইরু হিল রিসোর্টে সড়ক পথে এবং আংশিক আকাশ পথে আসা যায়। শুরুতে বান্দরবন আসতে হবে। সাইরুতেই নিজস্ব খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। পছন্দ মত বিভিন্ন খাবার খাওয়া যাবে। এছাড়াও রয়েছে আদিবাসীদের বিশেষ খাবার। স্বাদের ব্যাম্বো চিকেনের স্বাদ নিতে চাইলে সেটাও মিলবে এখানে।

No comments

Powered by Blogger.